CTS চিকিৎসা রোগীর লক্ষণ ও তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত ধাপে ধাপে চিকিৎসা করা হয়।
১. চিকিৎসার ধাপভিত্তিক পদ্ধতি:
CTS চিকিৎসা রোগীর লক্ষণ ও তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত ধাপে ধাপে চিকিৎসা করা হয়।
A. সংরক্ষণমূলক চিকিৎসা (Mild to Moderate CTS)
✅ অ্যাক্টিভিটি মডিফিকেশন (জীবনযাত্রার পরিবর্তন)
বারবার কব্জি মোড়ানোর কাজ (যেমন: টাইপিং, ড্রাইভিং, হাতুড়ি বা স্ক্রু-ড্রাইভার ব্যবহার) কমানো।
কর্মস্থলে সঠিক আঙ্গুল ও কব্জির অবস্থান বজায় রাখা।
হাতের অতিরিক্ত চাপ কমানো।
✅ রিস্ট স্প্লিন্ট/ব্রেস ব্যবহার
প্রথম পছন্দ হিসেবে রাতে রিস্ট স্প্লিন্ট ব্যবহার করতে বলা হয়, কারণ রাতে কব্জির ফ্লেক্সন বেশি হয়, যা লক্ষণ বাড়ায়।
কব্জিকে নিউট্রাল পজিশনে (সোজা রেখে) রাখতে সাহায্য করে এমন ব্রেস সবচেয়ে কার্যকর।
✅ ব্যথানাশক ওষুধ (NSAIDs)
শর্ট-টার্ম ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয় (যেমন: ইবুপ্রোফেন, ডাইক্লোফেনাক)।
তবে এটি রোগের প্রকৃত অগ্রগতি থামায় না।
✅ কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন (Steroid Injection)
যখন দেওয়া হয়: স্প্লিন্ট ও NSAIDs-এ ভালো না হলে।
ডোজ: মিথাইলপ্রেডনিসোলোন ৪০ মিগ্রা স্থানীয়ভাবে ইনজেকশন।
কার্যকারিতা: কিছুদিন বা কয়েক মাস উপশম দিতে পারে, তবে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে।
✅ ফিজিওথেরাপি ও নার্ভ গ্লাইডিং এক্সারসাইজ
হালকা পর্যায়ে খুবই কার্যকর।
উদাহরণ: মিডিয়ান নার্ভ গ্লাইডিং এক্সারসাইজ, টেন্ডন গ্লাইডিং এক্সারসাইজ।
B. সার্জিক্যাল চিকিৎসা (Severe CTS / দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও দুর্বলতা)
✅ কখন সার্জারি করা দরকার?
যখন ব্যথা, অবশভাব, দুর্বলতা দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং অন্যান্য চিকিৎসায় উন্নতি হয় না।
যখন থেনার মাসলের অ্যাট্রোফি (Thenar Muscle Atrophy) দেখা দেয়।
যখন নার্ভ কন্ডাকশন স্টাডি (NCS) দ্বারা তীব্র সংকোচন ধরা পড়ে।
✅ সার্জিক্যাল অপশন:
কার্পাল টানেল রিলিজ (Carpal Tunnel Release Surgery)
পদ্ধতি:
ওপেন কার্পাল টানেল রিলিজ (প্রচলিত)
এন্ডোস্কোপিক কার্পাল টানেল রিলিজ (দ্রুত পুনরুদ্ধারযোগ্যতা)
✅ সার্জারির পর পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব?
হ্যাঁ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া যায়। তবে, যদি নার্ভ ড্যামেজ বেশি হয়ে থাকে, তাহলে কিছু লক্ষণ স্থায়ী থাকতে পারে।
২. Non-diabetic, No thyroid disorder রোগীদের জন্য কোন চিকিৎসা শুরু করা উচিত?
যদি রোগীর ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড সমস্যা না থাকে, তাহলে সাধারণত সংরক্ষণমূলক চিকিৎসা (Conservative Treatment) প্রথম ধাপে শুরু করা হয়।
✅ প্রথম ধাপে:
নাইট স্প্লিন্ট ব্যবহার।
NSAIDs প্রয়োগ, যদি ব্যথা তীব্র হয়।
নার্ভ গ্লাইডিং এক্সারসাইজ।
কাজের ধরন পরিবর্তন ও রিস্ট পজিশন ঠিক করা।
✅ যদি লক্ষণ না কমে:
কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন প্রয়োগ করা যেতে পারে।
নার্ভ কন্ডাকশন স্টাডি (NCS) করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
✅ সার্জারি প্রয়োজন হলে:
শুধুমাত্র গুরুতর ক্ষেত্রে, যখন অন্যান্য চিকিৎসা ব্যর্থ হয়।
৩. কোন চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীদের কমপ্লায়েন্স (মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা) ভালো?
✅ প্রথমিক পর্যায়ে রোগীদের রিস্ট স্প্লিন্ট এবং এক্সারসাইজের প্রতি কমপ্লায়েন্স ভালো, কারণ এটি অপারেশন ছাড়া উপশম দেয়।
✅ NSAIDs ব্যবহার রোগীরা মেনে নেয়, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়।
✅ স্টেরয়েড ইনজেকশন রোগীদের মধ্যে জনপ্রিয়, কারণ এটি তাৎক্ষণিক আরাম দেয়। তবে বারবার ইনজেকশন দেওয়া যায় না।
✅ সার্জারি রোগীরা শেষ ধাপে গ্রহণ করে, কারণ এটি কাজের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দিতে পারে।
৪. Nerve Conduction Study (NCS) কখন করা উচিত?
✅ যদি লক্ষণ দীর্ঘদিন থাকে এবং রেগুলার চিকিৎসায় উন্নতি না হয়।
✅ যদি হাতের আঙ্গুলের দুর্বলতা বাড়তে থাকে বা থেনার মাসল অ্যাট্রোফি দেখা যায়।
✅ সার্জারির আগে নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
৩. কোন চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীদের কমপ্লায়েন্স (মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা) ভালো?
✅ প্রথমিক পর্যায়ে রোগীদের রিস্ট স্প্লিন্ট এবং এক্সারসাইজের প্রতি কমপ্লায়েন্স ভালো, কারণ এটি অপারেশন ছাড়া উপশম দেয়।
✅ NSAIDs ব্যবহার রোগীরা মেনে নেয়, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়।
✅ স্টেরয়েড ইনজেকশন রোগীদের মধ্যে জনপ্রিয়, কারণ এটি তাৎক্ষণিক আরাম দেয়। তবে বারবার ইনজেকশন দেওয়া যায় না।
✅ সার্জারি রোগীরা শেষ ধাপে গ্রহণ করে, কারণ এটি কাজের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দিতে পারে।
৪. Nerve Conduction Study (NCS) কখন করা উচিত?
✅ যদি লক্ষণ দীর্ঘদিন থাকে এবং রেগুলার চিকিৎসায় উন্নতি না হয়।
✅ যদি হাতের আঙ্গুলের দুর্বলতা বাড়তে থাকে বা থেনার মাসল অ্যাট্রোফি দেখা যায়।
✅ সার্জারির আগে নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
শেষ কথা
হালকা ও মাঝারি পর্যায়ে সংরক্ষণমূলক চিকিৎসা যথেষ্ট।
গুরুতর ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ইনজেকশন বা সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।
NCS পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া জরুরি, বিশেষ করে যদি রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়।
রিস্ট স্প্লিন্ট সঠিকভাবে ব্যবহার করলে অনেক রোগী অপারেশন ছাড়াই ভালো হয়ে যায়।